মিডিয়ার ট্রলের শিকার ১১ বছর বয়সী সুবা, সত্যিই কি দোষ ছিলো শিশুটির?
১১ বছর বয়সী একটি মেয়ে, মা এর চিকিৎসার জন্য বরিশাল থেকে এসেছিলেন ঢাকায়। সেখান থেকেই হঠাৎ নিখোঁজ হয়। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
মেয়েটির নাম আরাবি ইসলাম সুবা। পুলিশের সহায়তায় র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা নওগাঁ থেকে তাকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়ার পর ১১ বছর বয়সী শিশুটি চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়। সে জানায়, দুই বছর আগে টিকটকে পরিচয় হওয়া এক ছেলের সঙ্গে সে পালিয়ে এসেছে। বাসায় ভালো লাগে না, তাই পরিবার ছেড়ে ওই ছেলের সঙ্গে পালিয়েছে সে। আর এটি নিয়েই দেশের মিডিয়া শিশুটিকে নেগেটিভ ভাবে উপস্থাপন করে ভিউ বাণিজ্য করছে। আর নেটিজেনরাও মেতেছে তাকে নিয়ে ট্রল করতে। ১১ বছর বয়সী একটি শিশু যখন এমন উদ্ভট আচরণ করছে। তখন বুঝতে হবে তার বেড়ে ওঠার পরিবেশে সমস্যা ছিলো। এত কম বয়সী একটি মেয়ে শিশু কিভাবে স্মার্টফোন হাতে পায়? এটি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা। শফিক নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, দেখে অবাক হলাম মেয়েটির বয়স মাত্র ১১ বছর। এই শিশুটির হাতে যে ফোন তুলে দিয়েছে এখানে দোষ তার, তার পরিবারের।
শিশুটিকে যে খুঁজে পাওয়া গেছে এটিই কি সৌভাগ্য নয়? এমন পরিস্থিতিতে তার সাথে অনেক কিছুই তো ঘটতে পারতো। এখানে পুলিশ বাহিনী ও র্যাবকে বাহবা দেওয়াই যাই। মেয়েটি নিখোঁজ হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই তাকে খুঁজে বের করতে সক্ষম হয় তারা। অপরদিকে কিছু ভিউ ব্যবসায়ী অসাধু মিডিয়া শিশুটিকে নিয়ে নেগেটিভ নিউজ করছে, তাকে সমাজের কাছে খারাপ ভাবে উপস্থাপন করছে । এত কম বয়সী একটি শিশুর কি এসব বোঝার বয়স সত্যিই হয়েছে? শিশুটিকে নিয়ে নেগেটিভ মন্তব্য না করে তার পাশে দাঁড়ানো উচিৎ সকলের এমনটিই মনে করেন দেশের সচেতন নাগরিকরা।
Post a Comment