আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখন ভবঘুরের আড্ডাখানা আতিক হাসান শুভ

 আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখন ভবঘুরের আড্ডাখানা আতিক হাসান শুভ

কিছু দিন আগেও রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি ছিল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু। সেখানে প্রতিদিনই হাজির হতেন সারা দেশের প্রভাবশালী সরকার দলীয় নেতারা। দলটির সব ধরনের কর্মসূচিও পরিচালনা হতো এখান থেকেই। নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর হয়ে থাকতো ভবনটি। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকারের পটপরিবর্তনের পর বদলে গেছে সেই চিত্র। চকচকে সেই ভবনে এখন কেবলই ধ্বংসাবশেষ। নিচতলা এখন পথচারী এবং ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের শৌচাগারে পরিণত হয়েছে। আর উপরের দরজা-জানালাবিহীন কক্ষগুলোতে অবাধে যাতায়াত শুরু করেছেন ভবঘুরে ও মাদকসেবীরা। রাত হলে এখানে চলে মাদক সেবনসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডও।


১০ তলাবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বাইরে থেকেই ধ্বংসযজ্ঞের ছাপ চোখে পড়ে। সুসজ্জিত ভবনের সব মালামাল লুট হয়ে গেছে। পোড়া দেয়াল ছাড়া কোনও কিছুই অবশিষ্ট নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভবনটির পাশের এক ব্যবসায়ী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি এই এলাকায় প্রায় ২০ বছর ধরে ব্যবসা করি। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের এই অফিস কীভাবে আগুন লাগিয়ে ভাঙচুর করে ধ্বংস করা হয়েছে, তা নিজের চোখে দেখেছি। সেদিন অন্তত ২০০-২৫০ জন লোক এসে পুরো ভবন তছনছ করে গেছে। ভবনের যাবতীয় সব আসবাব নিয়ে গেছেএই প্রত্যক্ষদর্শী আরও বলেন, ‘তিন ধাপে এই ভবন ভাঙচুর ও মালামাল লুট করা হয়েছে। এখনও ভবনের বিভিন্ন অংশের রড কেটে নিয়ে যাচ্ছে অনেকে। যে যেভাবে পারছে পড়ে থাকা ইট-বালু পর্যন্ত নিয়ে গেছে। দামি মালামাল নেওয়া শেষে ৫ আগস্ট একবার আগুন লাগানো হয়েছে। পরে ৬-৭ তারিখে আবার আগুন দেওয়া হয়।’


আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বসা ফুটপাতের ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেমন কর্ম করেছে, তেমন ফল ভোগ করছে। এই ভবনে বসে তারা দেশের মানুষের ওপর নির্যাতনের নকশা আঁকতো। এটা ছিল তাদের রাজপ্রাসাদ। আজ সব ধ্বংস হয়ে গেছে। এখান থেকে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত যে ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়।’।’

Post a Comment

Previous Post Next Post