নেতৃত্ব সঙ্কটে আওয়ামী লীগ, ভেঙে যেতে পারে দল
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে ভাবমূর্তি ও নেতৃত্ব সঙ্কটের মুখোমুখি। এ অবস্থায় শেখ হাসিনা ছাড়া দল পুনর্গঠন চ্যালেঞ্জিং। এমনকি আওয়ামী লীগ ভেঙে অন্য দল গঠন হতে পারে।সোমবার (২৭ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছেপ্রতিবেদনে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান বলেছেন, ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ ও নেতৃত্ব সঙ্কটের মুখোমুখি আওয়ামী লীগ। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগে অভ্যন্তরীণ বিভাজন দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, হাসিনা নির্বাসন বা প্রত্যাবর্তনের সাথে অপরিচিত নন। তবে এবারের প্রত্যাবর্তন অনেক কঠিন হয়ে যাবেLogo
Sponsored Content
The Greatest Buffy & Angel Scene We Were Never Allowed To See
Buzz Day
An App That Will Help You Get Rich Effortlessly! Find Out How!
Live Result
নেতৃত্ব সঙ্কটে আওয়ামী লীগ, ভেঙে যেতে পারে দল
অনলাইন ডেস্ক
By
অনলাইন ডেস্ক
January 28, 2025
Updated: 3 minutes ago
Suggested News
You Won't Believe These Stunning Pre-Royal Photos Of Meghan!
খুব দ্রুত $100 আয় করার সেরা উপায়
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে ভাবমূর্তি ও নেতৃত্ব সঙ্কটের মুখোমুখি। এ অবস্থায় শেখ হাসিনা ছাড়া দল পুনর্গঠন চ্যালেঞ্জিং। এমনকি আওয়ামী লীগ ভেঙে অন্য দল গঠন হতে পারে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Suggested News
2-3 ঘন্টার জন্য শক্তিশালী শক্তি, যে কোনো বয়সে!
ShilaZen
Make A Fortune Easily With These Lifehacks (Working Methods)
Live Result
They Grow So Fast: Here Comes Alana Thompson
Herbeauty
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান বলেছেন, ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ ও নেতৃত্ব সঙ্কটের মুখোমুখি আওয়ামী লীগ। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগে অভ্যন্তরীণ বিভাজন দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, হাসিনা নির্বাসন বা প্রত্যাবর্তনের সাথে অপরিচিত নন। তবে এবারের প্রত্যাবর্তন অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
Suggested News
Get On The Wild Ride! 9 Steamiest Scenes From The Vampire Diaries
Herbeauty
: Young Woman Stuns With Her $50K/Month Income Secret!
Live Result
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের বেশিভাগ সদস্যকে হত্যার পর, তার মেয়ে শেখ হাসিনা বেশ কয়েক বছর ভারতে ছিলেন।
এরপর ১৯৮১ সালে তিনি আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য বাংলাদেশে ফিরে আসেন। শেখ মুজিবুর রহমানের নিহতের পর দল পুনর্গঠন করতে এবং ক্ষমতায় ফিরে আসতে তার সময় লেগেছিল ২১ বছর।
হাসানুজ্জামান বলেন, তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন; সেনাসমর্থিত রক্তাক্ত ছাত্র-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এতে তার ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়।
তিনি বলেন, দেশের অন্য দুটি প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি ও জামায়াত, উভয়ই বলেছে যে তারা চায় গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা হত্যার সাথে জড়িত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক। তারা এ যুক্তিও দিয়েছে যে আওয়ামী লীগের ভাগ্য দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে।
তবে, হাসিনাকে অপসারণের প্রচারণার নেতৃত্বদানকারী ছাত্র আন্দোলন আওয়ামী লীগের বিষয়ে আপসহীন অবস্থান নিয়েছে।
২৫ জানুয়ারি এক পথসভায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও ছাত্র আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা মাহফুজ আলমের কথায় বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়ে যায়।
উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, আওয়ামী লীগকে পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না। ২০২৬ সালের প্রথম দিকে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
উপদেষ্টা মাহফুজ আরো বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো সংস্কার বাস্তবায়নের পাশাপাশি খুন, গুম ও ধর্ষণের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করা। একইসাথে বাংলাদেশপন্থী সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।’
আরও পড়ুনঃ শেখ হাসিনার লন্ডন যাওয়ার গুঞ্জন, বাংলাদেশ নিয়ে যা বলল যুক্তরাজ্য
এ বিষয়ে হাসানুজ্জামান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দৃষ্টিকোণ থেকে এ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে, তাহলে দলটির রাজনীতিতে ফিরে আসার একটি ভিত্তি তৈরি করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তবে নেতৃত্ব, সংগঠন ও তৃণমূল পর্যায়ের সংযোগের মাধ্যমে জনসাধারণের আস্থা পুনর্নির্মাণ করতে না পারলে আওয়ামী লীগের জন্য রাজনৈতিক পুনরুজ্জীবন খুবই কঠিন।’
প্রফেসর হাসানুজ্জামান যুক্তি দেন যে দলটির কঠোর অবস্থান এবং সিদ্ধান্ত জনগণকে ক্ষুব্ধ হতে উৎসাহিত করেছে। এর মধ্যদিয়ে গণ-অভ্যুত্থানকে সফল হওয়ার পথ করে দেয়া হয়েছে। ধর্মীয় পদক্ষেপগুলো শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তায় আঘাত করেছে, যার ফলে একক দাবিতে পরিণত হয় তার পদত্যাগ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজ আওয়ামী লীগকে সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনের যেকোনো সম্ভাবনার জন্য চারটি শর্ত তুলে ধরেছেন। যে শর্তগুলো পূরণ করতে পারলেই দলটির প্রত্যাবর্তন সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
তার তুলে ধরা শর্তগুলো হলো- ১৬ বছরের ক্ষমতায় থাকাকালীন সংঘটিত অপরাধের জন্য, বিশেষ করে ২০২৪ সালের বিদ্রোহের জন্য, স্পষ্টতই ক্ষমা চাওয়া; বর্তমান আদর্শ ত্যাগ করা; হাসিনার পরিবারের কোনো সদস্য যাতে আবার দলকে নেতৃত্ব না দেয় তা নিশ্চিত করা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধসহ জঘন্য অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি করা।
আলী রীয়াজ আল জাজিরাকে বলেন, ‘শেখ হাসিনাসহ জুলাই আন্দোলনের সময় নৃশংসতার জন্য সরাসরি দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এই শর্তগুললো পূরণ হলেই তাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে যেকোনো আলোচনা হতে পারে।’
ইউনূসের নেতৃত্বাধীন একটি সরকারি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যানেরও দায়িত্বে রয়েছেন আলী রীয়াজ। তাকে প্রস্তাবিত সংস্কারের একটি ধারাবাহিক বিষয়ে ঐক্যমত্য তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তবে এটাও সত্য, অনেক আওয়ামী লীগ কর্মী হাসিনার প্রতি বিশ্বাস রাখেন, যদিও তারা মাঝে মাঝে ব্যক্তিগতভাবে তার পরিবারের ক্ষমতার অপব্যবহারের সমালোচনা করেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা বিদেশে বসে সামাজিক মাধ্যম ও টক শো’তে নেতা-কর্মীদের পুনর্গঠিত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন এবং ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ‘ব্যর্থ হতে চলেছে’ বলে তারা মনে করছেন।
তবে বাস্তবতা হচ্ছে, দলীয় কর্মীদের পুনর্গঠিত হওয়া খুবই কঠিন। কারণ নির্বাসিত নেতাদের জন্য বিদেশে বসে কথা বলা সহজ কিন্তু দেশের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে এবং।।
Post a Comment