গরু বিক্রির টাকায় চিকিৎসা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত মনিরুলের
করলাম? আমি চাই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হোক। সবাই ন্যায্য অধিকার ভোগ করুক। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। এটাই সবচেয়ে কষ্টের।’
আন্দোলন চলাকালে সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দে শ্রবণ শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মনিরুলের। সেই সমস্যার পর এখন আগের মতো স্মৃতি শক্তিও ধরে রাখতে পারেন না। আক্ষেপ করে মনিরুল বলেন, ‘গরীবের আবার এত সমস্যা শোনার প্রয়োজন আছে কারো? গত রাতে এই বেঞ্চেই ঘুমিয়েছি। চিকিৎসার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু সাথে কেউ না থাকায় ডাক্তার ঔষধ লিখে দিয়ে বলেছেন, বাসায় গিয়ে নিয়মিত ঔষধ খেতে।’
আহত হওয়ার পর চিকিৎসা করাতে প্রথমে নিজের পালিত গাভী বিক্রি করে দেন। দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়েও তার দুশ্চিন্তার শেষ নেই। জানান, গত ৪ মাস থেকে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন মনিরুল। আশপাশের কোন মানুষও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি। কারন তিনি কোনো দলের ব্যানারে গিয়ে দাঁড়ান না।
মনিরুল বলেন, ‘বড় ছেলেটা দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। মেয়ের বয়স ৬ মাস। ঠিকমতো মায়ের বুকের দুধ পায় না, বাজার থেকে বাড়তি খাবার কেনার সামর্থ্য নেই। তাদের জন্য আলাদা খরচ আছে। গত ৪ মাস যাবৎ টিসিবির দেয়া ৩০ টাকা কেজির চাউলে সংসার চলছে। গরিবের কোন জায়গায় শান্তি নাই। আমার তো চোখ নষ্ট, পরিবার চালাবে কে?’
Post a Comment