রিজার্ভে হাত না দিয়েও ৩ মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ

 রিজার্ভে হাত না দিয়েও ৩ মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন থেকে ২০ বিলিয়নের নিচে নেমে যায়। তবে, আইএমএফের হিসাবে তা ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এ সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে, কমেছে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার। পাশাপাশি রফতানি আয়ও বাড়ছে। এছাড়া বৈদেশিক অনুদান কমার প্রবণতাও কমেছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়ছে। এ কারণে চলতি ব্যয় মেটানোর পাশাপাশি এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগের বকেয়া ঋণ পরিশোধের পাশাপাশি নিয়মিত ঋণের কিস্তিও সময়মতো পরিশোধ করছে। এতে ঋণের স্থিতিও কমেছে। তবে সরকারি খাতে মেয়াদি ঋণের স্থিতি কিছুটা বেড়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণের স্থিতি বেড়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বেড়ে এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলারে উঠেছিল। এরপর থেকে ঋণ পরিশোধ বাড়ায় ঋণের স্থিতি কমতে শুরু করে। গত সরকার জুলাইয়ে ঋণের স্থিতি রেখে গিয়েছিল এক হাজার ১৩২ কোটি ডলার। আগস্টে তা আরো কমে এক হাজার ১২০ কোটি ডলার ও সেপ্টেম্বরে এক হাজার ৭৩ কোটি ডলারে নেমে যায়। গত অক্টোবরে তা আরো কমে দাঁড়ায় এক হাজার ১১ কোটি ডলারে। গত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এ খাতে ঋণের স্থিতি কমেছে ১২১ কোটি ডলার বা প্রায় ১১ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে আগের সরকারের আমলে বকেয়া বা স্থগিত করা বৈদেশিক ঋণের স্থিতিও কমতে শুরু করেছে। কারণ এসব ঋণও কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিশোধ করছে। গত আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সরকার আগের স্থগিত করা স্বল্পমেয়াদি ঋণের মধ্যে প্রায় ২০০ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি ঋণ শোধ করেছে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। দুই খাতে ৫০০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এসব ঋণ পরিশোধ করতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে হাত দিতে হয়নি। রিজার্ভে হাত দেয়া ছাড়াই কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজস্ব উৎস থেকে এসব ঋণ পরিশোধ করেছে। এতে সামগ্রিক স্থিতিশীলতা আবারো ফিরে আসছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post