কুমিল্লার শশীদল রেলস্টেশনে ভারতীয় চোরাই মালামাল পাচার!
প্রতিনিধিকে জানায়, প্রায় সময় তিনি শশীদল হয়ে ট্রেনে দিয়ে কুমিল্লা-চট্রগ্রামে যাতায়াত করে থাকেন। যাতায়াতকালে অবৈধ মালামাল বহনের দৃশ্য অনেকবার দেখেছি।
তিনি আরো জানান, প্রায় দিন বিকাল ও সন্ধ্যা হলে এমন দৃশ্য দেখা যায় বেশি,অনেক সময় ট্রেনে অবৈধ মালামাল উঠানোর সময় বিদ্যুৎ থাকে না স্টেশন অন্ধকার থাকতেও দেখেছেন।এই এলাকায় কয়েকটি চোরাকারবারি সিন্ডিকেট রয়েছে। তার ধারণা এই কর্মকাণ্ডের সাথে স্টেশন মাস্টার সহ ট্রেনের অন্যান্য কর্মকর্তারও জড়িত রয়েছে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, নির্বিঘ্নে চিনি চোরাচালান ব্যবসা পরিচালনার জন্য ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশকে মাঝেমধ্যে ম্যানেজ করেই চোরাকারবারিরা এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
শশীদল বিজিবি ক্যাম্পের নায়ক সুবেদার অবু বক্কর প্রতিনিধিকে জানায়,আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি, তবে ট্রেনে অবৈধ মালামাল উঠানো ক্ষেত্রে অভিযান পরিচালনা করতে হলে যৌথবাহিনীর সহযোগীতা ছাড়া সম্ভব নয়।
রেলওয়ের শশীদল স্টেশন মাস্টার সাহাব উদ্দিন জানায়,ট্রেনে অবৈধ মালামাল উঠানোর দৃশ্যটি প্রতিনিয়ত দেখছি তবে আমাদের কিছু করার থাকে না। ট্রেনের ভিতরে পুলিশ থাকে তারা ইচ্ছে করলে ব্যবস্থা নিতে পারে। আমি তো নিরাপত্তাহীন স্টেশন থাকি।
ব্রাহ্মণপাড়া সীমান্ত দিয়ে মাদক ও চোরাচালান বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স.ম আজহারুল ইসলাম বলেন,আমি মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে থাকি,প্রতিদিন তো সম্ভব নয়,আমার অন্যান্য কাজ থাকে।
তিনি আরো বলেন, স্টেশনের ১০০-১৫০ গজ কাছে বিজিবি ক্যাম্প রয়েছে। এতো কাছাকাছি বিজিবির ক্যাম্প থাকতে ট্রেনে অবৈধ পণ্য কীভাবে যায়। ‘বিজিবিকে জিজ্ঞেস করুন সীমান্ত দিয়ে কীভাবে মাদক, চোরাচালান পণ্য আসে, পুলিশ কি করে? ওদের জিজ্ঞেস করুন।’
ইউএনও জানান, মাদক, চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি ও পুলিশের টহল ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে হবে। তাদেরকে জবাবদিহিতার জায়গায় আনতে হবে।
Post a Comment